Sunday, June 8, 2025

সর্বশেষ

বিএনপির হামলাগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে, কয়েকদিন আগে যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা ও শিশু সন্তানসহ চারজনকে হত্যা করেছে, এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হবে, এটি অনুধাবন করতে পেরে বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, বিএনপির সেই হামলাগুলো যত না নৃশংস ও বীভৎস ছিল, তার চেয়েও নৃশংস ও বীভৎস মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যরা।

চট্টগ্রামের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সামনে আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে বা যারা করছে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচন কমিশন সেক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করলে সেটিও আমরা বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।

নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে জনগণকে না আসার জন্য বিএনপি লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালাচ্ছে, এটি কাটিয়ে জনগণকে কীভাবে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকালবেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে ওঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করা হয় আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোনো ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে কোনোভাবেই ম্লান করতে পারেনি। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কার্যত বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে। এগুলো দেখে বিএনপি এখন অসহযোগ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরাই এই অসহযোগ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করছে না।

দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব বিদেশিদের কাছে বিএনপি বারবার ধরনা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, সেই কথাই বলছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার– এসব বিষয় এখন আর নেই। এখন নির্বাচনটা কীভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন, সেটি নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, গতকাল (শুক্রবার) এবং এর আগেও জাতিসংঘের বিবৃতি ও ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন নির্বাচনকালে যেন কেউ সহিংসতা না করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার জন্য। সত্যিকার অর্থে দেশে অত্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেজন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে।

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.