অবৈধ পথে দেশে প্রবেশ করা স্মার্টফোন যেনো বাজারে না থাকে এবং নিবন্ধিত ফোনের বাইরে থাকা সব ফোন বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পাশাপাশি তিনি আইএমইআই নম্বরের এই নিবন্ধন কার্যক্রমকে আরও স্মার্ট করার ওপরও জোর দিয়েছেন।
এছাড়া অটোফিলের মাধ্যমে BNDA Service BUS হতে তথ্য সংগ্রহ করে তার মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক টেলিযোগাযোগ গ্রাহক নিবন্ধন ফরম ( Electronic Telecommunication Subscriber Acquisition Form- ETSAF) চালু করতে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব-এর প্রতি সহযোগিতা চেয়েছেন পলক।
এজন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার অফিস শুরুর সময়ের সঙ্গে আগারাগঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি ও টেলিকম খাত থেকে রপ্তানি আয় বাড়াতে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ইন্ডাস্ট্রি প্রোটেকশন একটা বড় বিষয়। সেই লক্ষ্যে দেশেই মোবাইল সংযোজনকে আরও বাড়াতে হবে।
বিটিআরসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে উৎপাদনে থাকা ১৭টি কোম্পানি যেনো আরও বড় বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য তাদেরকে প্রোটেকশন দিতে হবে। আরও ১০টি কোম্পানি যেনো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। এ জন্য এখানে উৎপাদিত ফোনই মার্কেটে বিক্রি হয়। স্মাগলিং হয়ে আসা কোনো ফোন যেন বাংলাদেশের মার্কেটে না থাকে। এতে করে আমার রাজস্ব আয় বাড়বে। লোকল ইন্ডাস্ট্রি প্রোটেক্টেড থাকবে এবং ইমপ্লয়মেন্ট জেনারেটড হবে।
বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান, ডিজি ও অ্যামটব-কে নির্দেশনায় তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বাধ্যতামূলক করে যেগুলো এখনো নিবন্ধনের আওতায় আসেনি সেগুলো যেনো মোবাইল অপারেটররা বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে কোনো কম্প্রমাইজ নাই। যদি কোউ বা কোনো গোষ্ঠী এটা বাধা দিতে চায় আমি তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।
ডেটা ভিত্তিক সিদ্ধান্তগ্রহণের পথ সুগম করতে এমটবের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ইটসাফ এর সম্ভাব্য ফিল ও ভেরিফিকেশন ও অথেন্টিকেশন নিয়ে আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে। আমি আশা করবো আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে সল্যুশন ও সাজেশন দেবেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় এমটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, গত বছর দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো দুই কোটি ৩৩ লাখ মোবাইল ফোন সেট তৈরি করেছিল। এটি ২০২২ সালে তৈরি করা তিন কোটি ১৭ লাখ সেটের তুলনায় ২৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম। আর মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমপিআইওএবি) তথ্য বছলছে, গত বছর মোবাইল ফোন বিক্রি কমেছে ৩৩ শতাংশ।