নিজেকে সুন্দর আর পরিপাটি রাখতে পছন্দ করেন সব নারীই। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে জন্মগত মুখের আকার তো আর পাল্টে ফেলা সম্ভব নয়। তবে হাতের কারুকাজ দিয়ে মুখের শার্পনেস খানিক বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। মুখের সৌন্দর্য অনেকাংশে নির্ভর করে ভ্রুর ওপর। জেনে নেওয়া যাক কেমন মুখের গড়নে কেমন হবে ভ্রুর আকার—
নিজেকে সুন্দর আর আকর্ষণীয় করে তুলতে নারীরা প্রতিনিয়ত ভ্রুর শেপ করান। মুখের সঙ্গে মানিয়ে ভ্রুর আকার কেমন হওয়া উচিত, তা একমাত্র দক্ষ কর্মীই বুঝতে পারেন। অনেকেই নির্দিষ্ট সেলুন কর্মী ছাড়া অন্য কারও কাছে আইব্রো করেন না। এর কারণ হাত পরিবর্তন করলে ভ্রুর আকারও বদলে যাবে। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে জন্মগত মুখের আকার পাল্টে ফেলা সম্ভব না হলেও হাতের কারুকাজ দিয়ে মুখের ধার খানিক বাড়িয়ে তোলা যায়। ভ্রুর আকার কেমন হবে, তা সাধারণত ঠিক করা হয় মুখের আকার দেখে। জানেন কি মুখের আকৃতি অনুযায়ী কেমন আইব্রোর আকার বেছে নেওয়া উচিত?
ডিম্বাকৃতি মুখ
এ ধরনের মুখে তীক্ষ্ণতা আনতে গেলে কপাল, গাল, নাক ও চোখের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে ভ্রু প্লাক করতে হয়। যেহেতু ডিম্বাকৃতি মুখে, কপালের গঠন কিছুটা চওড়া, তাই ভ্রুতে এমন আকার দিতে হবে যাতে মুখ গোল না লাগে।
আয়তকার মুখ
এ ধরনের মুখে হেয়ারলাইন, চোয়াল, গালের হাড়— এমনিতেই খুব তীক্ষ্ণ হয়। তাই আলাদা করে আর ভ্রুতে কোনো কারুকাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। ভ্রুর আকার সামান্য গোলাকার হলেও ক্ষতি নেই।
গোলাকার মুখ
গোলাকার মুখে খুব একটা তীক্ষ্ণতা থাকে না। তাই এক্ষেত্রে ভ্রুর আকার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। গোলাকার মুখে ভ্রু তাই ‘আর্চ’ আকারে তুলতে পারলেই ভালো।
চৌকো মুখ
আয়তকার মুখের মতো চৌকো মুখেও চোয়ালের হাড়ের গঠন বেশ চওড়া। কপালের আকার বেশ উন্নত। তাই এ ধরনের মুখেও ভ্রুর আকার সামান্য গোলাকার হলে দেখতে ভালো লাগে।