ঝামেলা পিছু্ই ছাড়ছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। হত্যা মামলা, ইনজুরি বিতর্কের পর এবার শাস্তির মুখে পড়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগে তাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকীর পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে কমিশনের ৯২৩তম সভায় সাকিবকে জরিমানার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করেছেন সাকিব। তাই তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট কমিশন সভায় শুভেচ্ছাদূতের পদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে (বিএসইসি)। সেবার সংস্থাটি জানিয়েছিল, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছিলেন বিএসইসির ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’র শুভেচ্ছাদূত। ২০১৭ সালে এ কার্যক্রমে তাকে যুক্ত করে বিএসইসি।
একই বছর অক্টোবরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয় বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সাকিবকে পরিচয় করে দেন সে সময়ের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন।
২০২০ সালে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়ত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে পুনর্গঠন করা হয় বিএসইসি। তবে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বহাল রাখা হয় সাকিবকে। এ সময়ে পুঁজিবাজারে আলোচিত বিনিয়োগকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।
জানা যায়, পুঁজিবাজারের আলোচিত কারসাজিকারক আবুল খায়ের হিরুর সঙ্গে একত্রে বড় বিনিয়োগ করেন ক্রিকেটার। অভিযোগ রয়েছে গত চার-পাঁচ বছরে পুঁজিবাজারে যেসব শেয়ার নিয়ে আবুল খায়ের হিরু সবচেয়ে বেশি কারসাজির ঘটনা ঘটিয়েছেন, এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ছিল সাকিবেরও।
এবার সাকিবের সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে আবুল খায়ের হিরুকেও। তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।