বিমানবন্দর-কমলাপুর রুটে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলছে। ফলে সড়কের নিচে থাকা বিভিন্ন পরিষেবার লাইন স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। এতে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রুটে যান চলাচলে স্বাভাবিক গতির বিঘ্ন হতে পারে।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে এই পরিষেবার লাইন স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের একাংশ বন্ধ রেখে কাজ চলছে।
সম্প্রতি ডিএমটিসিএল থেকে ট্রাফিক সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ও পরিবেশ সংরক্ষণে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল (এমআরটি-১) নির্মাণের লক্ষ্যে “ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)” প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় ১২ নভেম্বর থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরিষেবা লাইন স্থানান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায়, পরিষেবা লাইন স্থানান্তরের কার্যক্রম চলাকালীন বিমানবন্দর রুটে যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই করিডোরে চলাচলরত জনসাধারণ ও পরিবহনকে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনে সম্ভাব্য বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সবার সহানুভূতি ও সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১২ নভেম্বর ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রউফ বাসসকে বলেন, “ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ৩১.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১-এর দুটি অংশ থাকবে-বিমানবন্দর ও পূর্বাচল রুট। ডিএমটিসিএল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে এ নির্মাণকাজে বিভিন্ন ঠিকাদার নিয়োগ করেছে।”
এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ১৯.৮৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূগর্ভস্থ বিমানবন্দর রুটে ১২টি স্টেশন এবং ১১.৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড পূর্বাচল রুটে ১টি ভূগর্ভস্থ স্টেশনসহ ৯টি স্টেশন থাকবে।