বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর (৩৮) জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করছেন তার ভক্ত সমর্থকরা।
অনেকেই সড়কের মাঝে শুয়ে পড়েছেন, ভ্যানের চারপাশে মানবঢাল তৈরি করেন। এসময় সমর্থকরা তার মুক্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যেতে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে পুলিশ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে কিছুক্ষণের মধ্যেই মিচ মামলায় একটি শুনানি হওয়ার কথা হয়েছে। এই মামলায় তার জামিন হতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে নগরের নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর পরপরই চিন্ময় ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে তার ভক্ত সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। এর ফলে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে কারাগারে নিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন।