Thursday, December 5, 2024

সর্বশেষ

এবার রাজধানীতে ট্রেনে আগুন, নারী-শিশুসহ ৪ মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একটি বগি থেকে মা-শিশুসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার সমকালকে জানান, আগুনের খবর ভোর পাঁচটা ৪ মিনিটে পাওয়া গেছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট পাঁচটা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রহরায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ হয়।

নিহত চারজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন। নাদিরার স্বামী কারওয়ান বাজারের একজন হার্ডওয়ার্ড ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় নাদিরা আক্তারের ভাই এবং তার আরও এক ছেলে ট্রেনে ছিল। তারা ট্রেন থেকে নামতে পারলেও নাদিরা নামতে পারেননি। নিহত অপর দুইজন পুরুষ। তাদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বকুল আক্তার নামের এক যাত্রী জানান, আগুনের কারণে তিনি তাড়াহুড়ো করে ট্রেন থেকে নেমে আসেন। ট্রেনে তার সঙ্গে ছেলে খোকন ও নাতনি শারমিন (২) ছিল। তিনি ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

তেজগাঁও রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার এস এম পর্বত আলী বলেন, ‘‘ভোর ৪টা ৫৮ মিনিটে ট্রেন তেজগাঁও আসে। ৬টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পথে কোথাও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এখানে ট্রেনটি থামার কথা ছিল না। তবে আগুন দেখে ‘সিগনাল ডেনজার’ দিয়ে ট্রেন থামানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আগুনে ‘ছ, জ ও ঝ’ কোচ পুড়ে গেছে। তিনটিই এসি কোচ।’’ ট্রেনটি তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রেনের দুই কোচের মাঝের স্থানে প্রথমে আগুন দেখতে পান রেলকর্মীরা। ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং পাশের কোচগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা দ্রুত নামার চেষ্টা চালান। তবে যাত্রীদের কেউ কেউ বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাদের কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগুন দেখতে পান। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।

উল্লেখ্য, এর আগে দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশনের কাছে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেলপথে গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৪টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রওহা গ্রামের আসলাম হোসেন (৩৫) নিহত হন। ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.