নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবুর অনুসারীদের বিরুদ্ধে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান মাহমুদের নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মৈনম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উপজেলার মৈনম বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মাহমুদের মালিকানাধীন মার্কেটের একটি ঘরে তার প্রধান নির্বাচনী অফিস করা হয়েছে। আজকের দিনের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরুর আগে ওই অফিসে ব্রহানী সুলতান ও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা জড়ো হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যুবলীগ নেতা আল-আমিন, আশিকুর রহমান ও জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের ৫০ থেকে ৬০ জন অনুসারী ব্রহানী সুলতান মামুদের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়া হামলাকারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও তার মালিকানাধীন মার্কেটের একটি ওষুধের দোকানে ভাঙচুর চালায়।
হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন সমর্থক আলাম সরদার, শামসুল ইসলাম ও এবিএম হাসান রিপু আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর হওয়ায় আলাম সরদার ও শামসুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসানকে উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মাহমুদ গামা অভিযোগ করেন, নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবু সন্ত্রাসী বাহিনী নামিয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার কোথাও না কোথাও আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে নৌকার প্রার্থীর অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল রাতেও মৈনম বাজার এলাকায় আব্দুস সালাম নামে আমার এক কর্মীকে মারধর করা হয়। এর আগে পিড়াকৈ এলাকায় আরেক কর্মীকে মারধর করা হয়। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদ বাবুকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিদ মোর্শেদের অনুসারী ও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘নৌকার সমর্থকরা আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের যে অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হলেও এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’