নওগাঁ-৪ (মান্দা) সংসদীয় আসনে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার নির্বাচনী কার্যালয় ও দোকান ভাংচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিকুর রহমান। এ মামলায় নৌকা প্রার্থীর সাতজন কর্মী-সমর্থকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার (ট্রাক প্রতীক) নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুজন চন্দ্র বাদী হয়ে নৌকা প্রার্থীর ২৫ জন কর্মী-সমর্থকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
একই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২২ জন কর্মী-সমর্থকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮০ থেকে ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নৌকা প্রার্থীর কর্মী আব্দুল হান্নান।
এসব মামলায় নৌকা প্রার্থীর তিনজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আশিক মণ্ডল (২৭), সাদ্দাম হোসেন (২৮), আব্দুল হান্নান (২৬) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)।
আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদের নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মৈনম বাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার (ট্রাক প্রতীক) নির্বাচনী কার্যালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে নৌকা প্রার্থীর ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গামার তিন কর্মী-সমর্থক আহত হন। এসময় হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন ডিএসবি ওয়াচারসহ চার পুলিশ সদস্য।
মান্দায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন নাহিদ মোর্শেদ। এ ছাড়া সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক।