গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে নাশকতার যে ঘটনা ঘটেছিল তার মূলে ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। তবে তিনি যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কাছ থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান বলে দাবি করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশনা মোতাবেক গাজীপুরের ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইখতিয়ার রহমান কবির। ছাত্রদলের ওই দুই নেতা হলেন- আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক তোহা ও গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ দু’জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরা দু’জন স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বাসায় মিটিং করেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত কবির ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছেন। যা তিনি গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন। এই কবির লেগুনা হেল্পারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি বলেও জানানো হয়।
সিটিটিসি প্রধান দাবি করেন, এ কাজে সরাসরি অংশ নেন গাজীপুর মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইমন হোসেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নাশকতাকারীদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নাট-বল্টু খুলে রেল চলাচল বিঘ্ন ঘটাবে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করে সেটি করতে পারেনি। তাই কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাটার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে। এর ফলে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় এক যাত্রী নিহত ও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়।