নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রানীনগর উপজেলার কাশিপুর ও বাস টার্মিনাল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন (৫০), মহাবুর হোসেন সুমন (৪৬), রানীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক (৩১), রবিউল ইসলাম (৩৩), আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন (৪৫), কাশিমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মন্ডল (৪৭)। বাকিদের নাম, পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুজন সমর্থক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এবং অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার কাশিমপুর এলাকায় ট্রাক প্রতীকের লোকজন নির্বাচনি প্রচারণায় বের হন। ওই সময় নৌকার লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সেখানেই দুইপক্ষের ছয়জন আহত হন। এরই জেরে রানীনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সেখানেও আহত হন বেশ কয়েকজন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে উভয়পক্ষের আহতরা রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী নির্বাচনি প্রচারণার কাজে উপজেলার কাশিমপুর চারাপাড়া এলাকায় গেলে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের বাধা দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রীসহ অন্যদের উদ্ধার করার সময় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা তার উপর হামলা করে। অপরদিকে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করার সময় আনোয়ার হোসেনকে (কাঠ আনোয়ার) রড ও দেশীয় লাঠি দিয়ে মারধর করে নৌকার লোকজন।
‘এতে আমরা ১০ জন আহত হয়েছি। এ ছাড়া উপজেলার জিয়ানীপাড়ায় মালেক ও আনোয়ার নামে আমার দুই সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ার ও মালেককে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে আহত করা হয়েছে।’
রানীনগর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, মারধরের আলাদা আলাদা স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।