‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য, দুর্নীতি রোধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি থাকছে এবারের ইশতেহারে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করবেন।
প্রায় ১২ কোটি ভোটারকে সামনে রেখে প্রণয়ন করা ইশতেহার প্রকাশ করতে যাচ্ছে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে, বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য, দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহার প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়া পাশাপাশি দুর্নীতি রোধে বিশেষ ঘোষণা থাকবে ইশতেহারে। দ্রব্যমূল্য কমানো আর আর্থিক খাতের সুশাসনে জোর দেয়া হবে ইশতেহারে। কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পরিকল্পনার কথা থাকছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে।
চলমান মেগা প্রকল্প ছাড়াও সামনে আরো একাধিক প্রকল্পের পরিকল্পনা আছে বর্তমান সরকারের। আর এসব খাতে হবে অসংখ্য কাজের সুযোগ। শিক্ষিত, দক্ষ কর্মী সৃষ্টিই হবেই ইশতেহারের প্রধান লক্ষ্য।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে দেশের বদলে যাওয়া দৃশ্যপট রাখা হয়েছে এবারের ইশতেহারে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকার খাতসহ আগামী নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে গুরুত্ব পাচ্ছে যেসব বিষয়আওয়ামী লীগের ইশতেহারে গুরুত্ব পাচ্ছে যেসব বিষয়
আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম ড. আবদুর রাজ্জাক একাত্তরকে বলেন, ইশতেহারে প্রথমে পটভূমি হিসেবে থাকবে বাংলাদেশের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা। আর দ্বিতীয়াংশে আগামী পাঁচ বছরের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি থাকবে ভবিষ্যতের কিছু রূপরেখা।
‘প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, বিদেশি শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং দেশের মধ্যে যারা বিদেশিদের পা চাটা; এদের বিষয়ে কী কর্মসূচি নিবো, কী কৌশল অবলম্বন করবো, কীভাবে মোকাবেলা করবো- এগুলো থাকছে।’