রাজধানীর খিলক্ষেতে বেপরোয়া গতির ল্যান্ডক্রুজার প্রাডো গাড়ির চাপায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে গাড়ির চালক। তবে এর মালিককে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে খিলক্ষেত বাজার যাত্রীছাউনি সংলগ্ন প্রধান সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ২৬ বছরের যুবক উজ্জ্বল পান্ডে, ৩০ বছরের নারী আমরিন ও ৯ বছরের শিশু ইয়াসিন। আহত হয়েছেন ইয়াসিনের বাবা মো. সুমন ও রিয়াদ নামে এক যুবক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার জানান, প্রাডো গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। আহতদের প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর জিপ গাড়িটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। বিস্তারিত জানতে পুলিশ কাজ করছে।
নিহত উজ্জ্বল পান্ডের শ্যালক সবুজ কির্তনীয়া জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার কাজীপাড়া গ্রামে। উজ্জ্বল ভাটারা নতুনবাজার এলাকায় থাকতেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তবে খিলক্ষেতে কেন গিয়েছিলেন, তা জানাতে পারেনি সবুজ।
আহত সুমনের বাবা মো. মফিজ (ইয়াসিনের দাদা) জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া গ্রামে। সুমন মোহাম্মদপুর পাবনা হাউজ গলিতে পরিবার নিয়ে থাকেন। মফিজ নিজে খিলক্ষেত ১৩ নম্বর রোডে একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। বিকালে ছেলে সুমন ও নাতি ইয়াসিন খিলক্ষেতে তার কাছে গিয়েছিলেন দেখা করতে। পরে সেখান থেকে মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি জানতে পারেন, দুর্ঘটনা তার নাতি ইয়াসিন মারা গেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আহত অবস্থায় পান ছেলে সুমনকে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, খিলক্ষেত থেকে ৩ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে উজ্জল নামে একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে রিয়াদ ও সুমন নামে দুইজন ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
খিলক্ষেত থানা পুলিশ আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটির চালক অদক্ষ ছিল। তবে গাড়িটির মালিককে শনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

