আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ৬২ জেলায় প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুত রাখা হয়েছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও। একই সঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে আছে বিমান বাহিনীর বিমানও।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও প্রয়োজনে বিমানবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘In Aid to the Civil Power’ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) মোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্র সমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে।
এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।