ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরো কমেছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি কমে নেমেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের আভাস।
এদিন সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। পথ চলতে যানবাহনকে ব্যবহার করতে হচ্ছে হেড লাইট।
দুদিন ধরে হিমেল বাতাসের কারণে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার বাসিন্দারা। আর রাতে টিনের চালে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। অন্যদিকে তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা।
জহুরুল নামের একজন বলেন, শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট। কারণ মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠান্ডায় মাঠে কাজ করা খুব সমস্যা। কি আর করার কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।