দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩ মিনিটে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন তিনি। ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকেই ভোট দিক, কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়ে অনেক জেল জুলুম সহ্য করেছি। এরপরেই মানুষের ভোটাধিকার মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। মানুষ যাকে ইচ্ছা তাকেই ভোট দিক, শুধু নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।
বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। এই দলের জন্মই হয়েছে মিলিটারি ডিকটেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। ভোট কারচুপি করা, ভোট কেড়ে নেয়া এটিই বিএনপির চরিত্র। তবে তারা এই সুযোগ এখন পাচ্ছে না। এ জন্যই তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে। গাড়িতে, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মারছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া কোনো ধরনের উন্নয়নই সম্ভব না। তাই দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো নিঃসন্দেহে।
মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ভোট দিতে পারছেন না। ঢাকার ধানমন্ডির ভোটার হিসেবে তিনি ভোট দেবেন ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে তিনি ঢাকায় ভোট দেবেন।