কমছে না শীতের দাপট। সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। পৌষ মাসের শেষ দিনে হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। জবুথবু রাজধানীবাসীও। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা না মেলায় দিনেও শীত অনুভূত হচ্ছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের পাশাপাশি রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াসহ দেশের কয়েক জেলায় বইছে মৃদ শৈত্যপ্রবাহ; যা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েক দিন। রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। এর প্রভাবে সকাল থেকেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন প্রকৃতি।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না আসায় কিছুদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা সারা দেশে গড়ে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি কম থাকছে। রাতের তাপমাত্রা তেমন কমেনি। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। এটা জানুয়ারি মাসে মাঝেমধ্যেই হয় এবং টানা তিন-চার দিন থাকে। এই অবস্থা আগামী সোমবার পর্যন্ত থাকতে পারে।
তীব্র শীতে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। উত্তরের জেলাগুলোতে পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না।
এ ছাড়া তীব্র শীতে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে বহুগুণে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
এদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কর্মস্থলগামী মানুষ। বেশি বিপাকে হতদরিদ্ররা। শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্বিষহ তাদের জীবন। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিমান ও যান চলাচল।