ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা নেমেছে ৬ ডিগ্রির ঘরে। সোমবার তাপামাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় ১৪ জেলার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২৭ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রেকর্ড করা হয়েছে।
আটটি বিভাগের মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিভাগে ঢাকা জেলা বাদে সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে রেকর্ড করা হয়নি।
ঢাকা বিভাগ: টাঙ্গাইল ৮ দশমিক ৫, ফরিদপুর ৭ দশমিক ৫, মাদারীপুর ৮ দশমিক ৩, গোপালগঞ্জ ৭ দশমিক ৮, কিশোরগঞ্জের নিকলি ৮ দশমিক ৬।
রাজশাহী বিভাগ: রাজশাহী ৭ দশমিক ৮, ঈশ্বরদী ৮, বগুড়া ৯, নওগাঁর বদলগাছী ৯, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ৮ দশমিক ৪।
রংপুর বিভাগ: রংপুর ৯ দশমিক ৬, দিনাজপুর ৮ দশমিক ৪, নীলফামারির সৈয়দপুর ৮ দশমিক ৬, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ৭ দশমিক ১, নীলফামারির ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ৭ দশমিক৫।
সিলেট বিভাগ: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ৯ দশমিক ২।
চট্টগ্রাম বিভাগ: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ৯ দশমিক ৪, কুমিল্লা ৯ দশমিক ৯।
খুলনা বিভাগ: খুলনা ৯ দশমিক ৪, সাতক্ষীরা ৯ দশমিক ৫, যশোর ৮ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ৯।
বরিশাল বিভাগ: বরিশাল ৮ দশমিক ৪, ভোলা ৯ দশমিক ৫।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে সকাল ১০টায়। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকবে। যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেসব জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ বহাল থাকবে। নির্দেশ অনুয়ায়ী সোমবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় ১৪ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।