কুষ্টিয়ায় বাবা ও ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে জেলা শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার সেলিমের বাসার ভাড়াটিয়া মধু এবং তার একমাত্র ছেলে মুগ্ধ। রেজাউল করিম মধু শহরের আলফা মোড় এলাকার বিষ্ণুপদ রায়ের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে শনিবার দুপুরে ছেলেকে হত্যা করে ফাঁস দিয়ে মধু আত্মহত্যা করেন।
মধুর স্ত্রী শেফালী আলফার মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে ছিলেন। শনিবার দুপুরের দিকে বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় ফিরে ঘরে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শেফালী খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী শনিবার সকালে আমার বাবার বাড়ি থেকে ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করানোর কথা বলে নিয়ে আসে। এরপর দুপুরে মোবাইল ফোনে অনেকবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি।’
‘দুপুরের পর পর বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় এসে দেখি দরোজা-জানালা বন্ধ। পরে স্থানীয়রা জানালা ভেঙে দেখে দুজনের লাশ ঝুলছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানি না।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছেলেকে হত্যার পর মধু আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানানো যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।