কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শুক্রবার বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রমোদতরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আটজনের মধ্যে আছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান।
এ ঘটনায় ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজনের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ, তবে এখনও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ লোকজনের।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে সোহেল রানা। তিনি ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান।
দেবিদ্বারের ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সোহেল রানার পরিবারের কারও মরদেহ পাওয়া যায়নি।’
ভৈরব নৌ-থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নিখোঁজদের মধ্যে-ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রাইসুল রয়েছে। নৌ পুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।’
ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রমোদতরি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীরপরিচয় জানা যায়নি।
নিখোঁজ আটজনের মধ্যে বাকি চারজন হলেন ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার ৩০ বছরের রূপা দে, তার ভাইয়ের মেয়ে ১১ বছর বয়সী আরাধ্য দে এবং রূপার ভগ্নিপতি জেলার কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার ৩৮ বছর বয়সী বেলন দে ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, ‘(শুক্রবার) বিকেলে পুলিশের কনস্টেবল ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২০ জন প্রমোদতরিতে উঠে মেঘনা নদীতে ঘুরতে বের হয়। সন্ধ্যার দিকে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রমোদতরিটি ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবিত ১২ জন এবং এক নারীর লাশ উদ্ধার করে। এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। পরে মেঘনা নদীতে শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় ডুবুরিদল গিয়ে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করে।’