ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে নওগাঁ সীমান্তে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন এবং লালমনিরহাট সীমান্তে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নওগাঁয় বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, আজ মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর হাপানিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় অংশে বিএসএফের গুলিতে আলামিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
এ ছাড়া, আজ ভোরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সীমান্তে ৯২৩ নাম্বার সীমান্ত পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া (১৮) নামে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ লিটনকে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছেন এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লিটন মিয়া দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানা কৈমারী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আমার ছেলেকে গুলি করেছে। আমার ছেলেটা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। বিএসএফ সদস্যরা ওর মরদেহ ভারতে নিয়ে গেছে।’
লিটনের মা দুলালী বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে ভারতে।’
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দীঘলটারী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাঈদুর রহমান বলেন, ‘লিটন মিয়া ভারত থেকে গরু আনার সময় বিএসএফের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে কথা ছিল তারা এমন কাউকে পেলে আটক করে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। কিন্তু তারা তা করছে না।’