অপরাধে অভিযুক্তরা কারাগারে গেলে তাদের জন্য বিএনপি মায়াকান্না করে অভিযোগ করে এর কারণ জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বুধবার ঢাকা-১০ আসনের দরিদ্র বাসিন্দাদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শেষে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানুষ মারা, আগুন সন্ত্রাস—এগুলো অপরাধ। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, তারা অপরাধে অভিযুক্ত। তারা জেলে গেলে বিএনপির কেন এত মায়াকান্না?’
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রায় ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী সরকারের দমনপীড়নের শিকার।
এর ছয় দিন পর ফখরুলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলেছি, তালিকা প্রকাশ করুন। আজকে ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নাকি নির্যাতনে আছে। মানুষ মারার আসামি, আগুন সন্ত্রাসের আসামি হলে সেটা একটা অপরাধ। তারা জেলে গেলে বিএনপির কেন এত মায়াকান্না?’
দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে সংকট নেই দাবি করে কাদের বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। রাজনীতির বিরোধিতার জন্যই অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে।’
তিনি বলেন, ‘সারা রাত ধরে ঈদের শপিং চলছে। শপিং করতে গিয়ে কোথাও কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রাজনীতির বিরোধিতার জন্য কথা বলে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে। কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে তেলের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমে যাচ্ছে। আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে, গরিবের জন্য মায়াকান্না করে।
‘তাদের আমলে জিয়াউর রহমানের সময়ে অভাবের তাড়নায় রংপুর কোর্টে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল অনেক নারী। সে ইতিহাস কি ভুলে যান?’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে যারা ঢাকা সিটিতে এত ভিক্ষুক কেন এমন প্রশ্ন করেন, তাদের লজ্জা করে না? তারা একজন গরিব মানুষকেও এই কষ্টের দিনে রোজার মাসে কোনো প্রকার সাহায্য করেনি; ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেনি।
‘বড়লোকদের নিয়ে বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টি করেছে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সারা দেশে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরে দান-খয়রাতের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে, কিন্তু এ পর্যন্ত না খেয়ে মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে আছে, এমন কেউ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির উদ্ভট কথায় আওয়ামী লীগ কান দেবে না। বিপদে অসহায় মানুষের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের রাজনীতি।’