বাঙালী সংস্কৃতিকে উদযাপন করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলপনা এঁকেছে। বার্জার ও এশিয়াটিকের সাথে যৌথ উদ্যোগে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ সূর্যদয়ের সাথে সাথে বাংলালিংক, বার্জার ও এশিয়াটিক দেশের সকল প্রান্তের মানুষকে ”আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১” নামের এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে আহবান জানিয়েছে।একই সাথে নববর্ষে বাঙালী চেতনাকে জাগ্রত করতে ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করতে সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাঙালী সংস্কৃতির এই বহুল প্রতীক্ষিত নববর্ষের উৎসবে প্রতিবছরই মানুষের ঢল নামে। এবারের আলপনার এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানুষের আনন্দঘন উপস্থিতিতে উৎসবের রঙ আরও রঙিন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৩ এপ্রিল ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে দেশব্যপী এই আনন্দযজ্ঞের উদ্বোধন করেছেন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নাহিদ ইজাহার খান অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা শিববাড়ি মোড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল উদ্দিনের উদ্বোধনের মাধ্যমে আলপনা আঁকা হয়েছে। একই সাথে কিশোরগঞ্জে মিঠামইনে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনা এঁকে বাংলাদেশ ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক প্রতিমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজনে সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুবিশাল এই কর্মযজ্ঞে তুলির আঁচড় দিয়েছেন।
পলক সমন্বিত এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “কোভিড-১৯ এর বিরতির পর পহেলা বৈশাখের আলপনার উৎসব আবার ফিরে আসায় বাঙ্গালী চেতনার উদযাপন আবার তার চেনা রুপ লাভ করেছে। আয়োজকদের প্রতি আমি শুভকামনা জানাচ্ছি ও আশাবাদ ব্যক্ত করছি যেন তারা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করে দেশবাসীকে আনন্দে ভাসাতে পারে।”
বাংলালিংক-এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ”বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্রময় সব উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক গভীরভাবে দায়বদ্ধ। দেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব পহেলা বৈশাখ এ সকল উৎসবের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলালিংক-এর এই আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও দেশীয় উৎসবকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।“