পবিত্র হজ পালনের জন্য ৪১৩ জন বাংলাদেশি জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
এ বছর ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে বিমান ৪২ হাজার ৬২৯ জন হজযাত্রীর পরিবহন করবে। হজের আগে ৯ মে থেকে ১০ জুন চালু থাকবে ফ্লাইট।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রথম দিনে সাতটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাসের দুটি করে ফ্লাইট রয়েছে।
প্রথম দিনের শিডিউল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে মোট ২ হাজার ৭৮৫ জন হজযাত্রীর। তবে রাত ২টা পর্যন্ত টিকিট বুক করেননি আট শতাংশ হজযাত্রী। ভিসাসহ নানা জটিলতায় প্রথম দিনে সৌদিতে যাচ্ছেন না তারা।
জানা যায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালিত হবে৷ সে লক্ষ্য জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োজিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৪২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।
তিনি বলেন, হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি। প্রত্যেক হজযাত্রী দুটি ব্যাগে ২৩ কেজি করে মোট ৪৬ কেজি মালামাল উভয় দিক থেকে পরিবহন করতে পারবেন।