Thursday, December 5, 2024

সর্বশেষ

হঠাৎ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ওবায়দুল কাদের

হঠাৎ চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের। এদিন সংবাদ সম্মেলনটি খুব একটা দীর্ঘ হয়নি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে দপ্তর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

দপ্তর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাদের দুইজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেলা ১টা ৩২ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

একইসময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। তারা দুইজনও যোগ দেন বৈঠকে। এসময় দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি দুপুর ২টা ১২ মিনিটে শেষ হয়।

সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিত ছিলো না। হঠাৎই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ডেকে নেয়া হয়। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও আইনগত দিক নিয়ে আলোচনা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কোটা আন্দোলনে পলিটিক্স এর উপাদান যুক্ত হয়ে গেছে। আমাদের ডিভাইসিভ পলিটিক্স পোলারাইজড পলিটিক্স এখানে যুক্ত হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি প্রকাশ্যে এবং তাদের সমমনারা এই কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা সাপোর্ট করেছে প্রকাশ্যেই।

তিনি আরো বলেন, সাপোর্ট করা মানেই তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করেছে। কাজেই এটা এখন পোলারাইজড পলিটিক্সের ধারার মধ্যেই পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার নতুন করে বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে কারা কারা যুক্ত আছে, কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা সেটা যে আন্দোলনের গতিধারা এর মধ্যেই বোঝা যাবে। এই গতিধারায় সব কিছুই সময়ের পরিবর্তনে পরিস্কার হয়ে যাবে। কোনো কিছুই হাইড করা সম্ভব হবে না। সেটা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবিতে কয়েকদিন যাবৎ সারাদেশে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোটা নিয়ে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সময় নষ্ট করছে শিক্ষার্থীরা। যারা এর আগে আন্দোলন করেছিল তারা আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কত পাস করত, এখন কত করছে। এটা সাবজুডিস ম্যাটার, আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সময় নষ্ট করছে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.