বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নিরীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত অডিটররা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় হিসাব ভবনের সামনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অডিটররা জড়ো হয়ে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি শুরু করেন।
সেখানে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র আহমেদুর রহমান ডালিম বলেন, “একই পদে দুই ধরনের বেতন থাকায় আমরা বৈষম্যের শিকার। এটা কখনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আমাদের দাবি কর্তৃপক্ষকেই নৈতিকভাবে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সমাধান করতে হবে।”
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ও কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) কার্যালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের ১১তম গ্রেডের প্রায় ৭ হাজার কর্মকর্তা গত ২৫ অগাস্ট থেকে কর্মবিরতিতে আছেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় এখন তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করলেন।
বছর কয়েক আগে রিট মামলার মাধ্যমে ৬১ জন অডিটরের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত হয়। পরে অন্যরাও একই পথ অনুসরণ করে গ্রেড উন্নয়নের পক্ষে রায় পান।
কিন্তু অর্থ বিভাগের একটি ‘দুষ্টু চক্রের’ কারণে আর কেউ দশম গ্রেডে উন্নীত হতে পারেনি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
তারা বলছেন, বিষয়টি সুরাহা করতে গত ১২ আগস্ট অর্থ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দেন অতিরিক্ত উপ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (পার্সোনেল)। পরের দিন অর্থ বিভাগ চিঠি দিয়ে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত জানতে চায়।
অডিটর পদের বেতন গ্রেড দশমে উন্নীত করা যেতে পারে বলে গত ২০ অগাস্ট মতামত জানায় আইন ও বিচার বিভাগ। এরপর আর অগ্রগতি না হওয়ায় ২৫ অগাস্ট থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।
গণ অনশনে থাকা সিজিএ কার্যালয়ে কর্মরত অডিটর শাহিনুর রহমান বলেন, “আমাদের আন্দোলন অনেক দিন ধরেই চলছে, ১০ম গ্রেড (উন্নীতকরণ) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। কর্তৃপক্ষ আমাদের আন্দোলনে কোনো কর্ণপাত করছে না। তাই আমরা এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছি।”
দেশের প্রতিটি অডিটর ‘এই আন্দোলনের সঙ্গে আছেন’ মন্তব্য করে শাহিনুর বলেন, “অডিট অ্যান্ড একাউন্টস বিভাগের অডিটরদের মধ্যে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে, আপনি তাদের সঙ্গে কথা বললেই বুঝতে পারবেন।”
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।