Thursday, December 5, 2024

সর্বশেষ

যেভাবে ভারত পালিয়ে যান ওবায়দুল কাদের

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী দোসরদের অনেকেই দেশ ছাড়তে মরিয়া। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি। কেউ আবার খুইয়েছেন মোটা অঙ্কের নগদ টাকা ও ডলার। কাউকে দিতে হয়েছে জীবনও। তবু ভারতে পালানোর মিছিল থামছে না। এ সুবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা চিহ্নিত দালালদের পোয়াবারো।

অভিযোগ আছে, ভিআইপিদের অনেকে পার হওয়ার সময় দুদেশের প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আওয়ামী দোসরদের সাজানো প্রশাসন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকে তাদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ আগস্ট মধ্যরাতে খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরে চলে যান। সেখানে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরদিন তিনি বিশেষ প্রহরায় সীমান্ত অতিক্রম করেন। বিষয়টি যশোর ও বেনাপোলের বেশ কয়েকটি দায়িত্বশীল সূত্র যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারা পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে নারাজ।

এছাড়া ৭ আগস্ট রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারসহ আরও বেশ কয়েকজন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। এমন খবর নিশ্চিত হওয়ার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন বিক্ষোভও করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে নিজস্ব অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে মাঠে নামেন যশোর-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। পরে তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়। বর্তমানে তিনি অজ্ঞাত স্থানে রয়েছেন। এছাড়া আত্মগোপনে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন, সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম ওরফে লিটন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারসহ স্থানীয় নেতাদের অনেকে। এদের বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

তবে বেনাপোল ছাড়াও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা পার্শ্ববর্তী পুটখালী ঘাট এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকেন। তাদের কেউ কেউ পুটখালীর দালাল সর্দার হিসাবে পরিচিত নাসিরের সহায়তায় দেশ ছাড়তে সক্ষম হন বলে জানা যায়। অনেক আগে থেকে এ ঘাটটি ধুড় পাচারের অন্যতম ঘাট হিসাবে পরিচিত। এছাড়া রঘুনাথপুর এলাকার দালাল বাদশা মল্লিক ও কলারোয়া সীমান্তের ভাদিয়ালি ঘাটে আক্তার চন্দনের সহায়তায় অনেকে ভারতে ঢুকছেন। আওয়ামী লীগের লোকজনকে সীমান্তের ওপারে সহায়তা করছেন কুখ্যাত ভারতীয় দালাল গৌতম দাস ও বাবুরাম

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.