আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে প্রধান কৌঁসুলি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তাজুল বলেন, ‘গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’
সঙ্গে থাকা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার কাজ শেষ হলে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে মূল ভবনে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই প্রথম তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো।
একই মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এই তালিকায় সাবেক মন্ত্রীদের তালিকায় আছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জুনাইদ আহমেদ পলক ও আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা জারি করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।