আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের শেষ দিনে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে শুক্রবারে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন তিনি।
বক্তব্যে তিনি পুরোনা স্মৃতি রোমন্থনের পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচন, বিএনপির আন্দোলন, নিজের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই তো স্লোগান তুলেছিলাম আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছি। আর সেই আন্দোলন সফল করতে সরকারে এসে একটানা সরকারে থেকে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে থেকে উন্নত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখিছি। এই কোটালীপাড়াতেও বিশাল বিশাল বোম মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিলো। মিটিং এ আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এগুলোতো প্রতিনিয়ত হয়েছে। সরাসরি গুলি করা অবস্থার মধ্য দিয়েও আল্লাহ বারবার আমাকে বাঁচিয়ে রাখলেন।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার তারা আউটসোসিং আন্দোলন করে। সমাজের কিছু অবাধ্য লোকজনের হাতে টাকা দিয়ে আগুন দেয়ায়। যুবদলের নেতা নিজে সরাসরি আগুন দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জনগন কিন্তু সচেতন। তাদের ধরে ধরে পুলিশে দিয়ে দিচ্ছে।’
কোটালীপাড়ার ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে সারা দেশ নিয়ে চিন্তা করতে হয়, ভাবতে হয়। আমার নির্বাচনী কাজ আপনারাই করে দেন। যে কারণে আমি সারা দেশের মানুষের কথা ভাবতে পারি, কাজ করতে পারি। যার সুফল সারা দেশের মানষ পায়।’
কোটালীপাড়ায় মতবিনিময় শেষে তিনি সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া যান। বিকেলে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন এবং বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শহীদ উল্লাহ খন্দোকার, আয়নাল হোসেন শেখসহ আরও অনেকে।