ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরের হিম প্রবণ জেলা পঞ্চগড়। সেখানে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশার শিশিরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। তাপমাত্রা কমেছে শীতের পারদ। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে জেলার প্রকৃতি। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। তবে কুয়াশার কারণে কোথাও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে শীত উপেক্ষা করে সকালে চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্নআয়ের মানুষদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে।
আরশেদ আলী, মোস্তফা ও সাইফুলসহ কয়েকজন চা শ্রমিক বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছে। ভোরে বাগানে চা পাতা কাটতে এসেছি। কুয়াশা আর হিমেল শিশিরের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে বের হতে হয়েছে।
কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, এ মৌসুমে মনে হচ্ছে আজকেই বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা। শীতের কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। সকালে বেড়িয়েছি, কিন্তু কোনো ভাড়া মারতে পারিনি।
স্থানীয়রা জানান, পৃথিবীর উচ্চতম হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্ঘ থাকায় শীতের অক্টোবরের শেষ থেকে শুরু হয় শীতের আমেজ। নভেম্বরের শুরু থেকে কমতে থাকে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে শীতের পরশ। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল গড়লেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বইতে থাকে শীতের প্রকোপ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, তাপমাত্রা কমে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবের কারণেই দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে কদিন ধরেই। হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।