দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্প্রিলওয়ে বা জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের।
তিনি জানান, প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ হতে ৯ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন হচ্ছে কর্ণফুলীতে। কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি যাওয়ায় স্প্রিলওয়েগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে ৩২-৩৩ হাজার কিউসেক পানি প্রতি সেকেন্ডে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেওয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট বা স্লুইসগেইট রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নির্গমন করতে পারে। ১০৯ এমএসএল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও হ্রদে ১০৮ এমএসএলের অধিক পানি পূর্ণ হলে জলকপাট দিয়ে পানি নির্গমন করা হয়।