দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোট চলছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।
১৩৯টি উপজেলা পরিষদের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৪১৭টি পদের বিপরীতে প্রায় ৫৭০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ এক হাজার ৬৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, এসব উপজেলায় দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ এই পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
দেশজুড়ে এসব উপজেলায় ১০ হাজার ৪০০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমতল এলাকাগুলোর প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৯ সদস্যের নিরাপত্তা দল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৯ থেকে ২১ সদস্যের নিরাপত্তা দল ভোট চলাকালে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২১ মার্চ প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
তবে নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে আটটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত উপজেলাগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি, টাঙ্গাইলের গোপালপুর, নওগাঁর মহাদেবপুর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও জামালপুরের সরিষাবাড়ী।
নির্বাচন কমিশন এবার চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করেছে। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০টিতে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি।
২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১০ উপজেলায় এবং সবশেষ ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।