হৃদপিণ্ডের রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম নিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অসন্তোষের জবাবে বলা হচ্ছে, সরকারের বেধে দেয়া দাম যৌক্তিক। এ বিষয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার সভা করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সেখানে থেকে বলা হয়েছে, রিংয়ের দাম বিবেচনার আর কোনো সুযোগ নেই।
গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হার্টের স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে। নির্দেশনায় ১৬ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত দামে স্টেন্ট বিক্রি করতে বলা হয়।
উল্টো দিকে রিং বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, দাম অনেক কমানো হয়েছে, এতে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। দাম নির্ধারণে বৈষম্যের অভিযোগ এনে সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা হাসপাতালে রিং সরবরাহ বন্ধ ও ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে হৃদরোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে বলে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আজ রোববারের এ সভা আহ্বান করে ঔষধ প্রশাসন। এতে সরকারের দাম সমন্বয়ে জাতীয় কমিটির ১৩ সদস্যের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সভা শেষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. নুরুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সভায় দাম পুনরায় বিবেচনা করা হয়নি। কমিটি তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছে।
কমিটির আলোচনায় বলা হয়, চলতি মাসে যে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা যৌক্তিক। জনস্বার্থে ন্যায্যতা বিবেচনা করে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে তা কৃত্রিম। এমন কোনো সংকট হাসপাতালগুলোতে নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, রিং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো দামের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেছে। দামের সিদ্ধান্তে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেননি, রুল জারি করে জবাব দিতে বলেছে। আদালত খোলার পরে শুনানি হবে, ওই সময় হাইকোর্ট নির্দেশনা দিলে কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।