বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা দামে গরুর মাংস বিক্রি হলেও গরুর মাংসের প্রকৃত দাম চারদিন পর আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্ধারণের কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ রোববার মাংস ব্যবসায়ী, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন, ক্যাব, ট্যারিফ কমিশন, সুপারশপ প্রতিনিধি এবং ভোক্তা অধিকারের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা জানান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, আজকে সেমিনার হবে শুনে অনেকেই ভেবেছেন এই সেমিনারেই গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ভোক্তা অধিকার মাংসের দাম নির্ধারণ করবে না, এটি নির্ধারণ করবেন ব্যবসায়ীরা নিজেরাই।
সেমিনারে মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যাবে। এই দামে মাংস বিক্রি করলে বড় রকমের লোকসান গুণতে হবে তাদের।
সেমিনারে কথা বলছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছবি: সময় সংবাদ
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার জানিয়েছে, বর্তমানে ৮০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করলে প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা লাভ করেন ব্যবসায়ীরা। মাংসের দাম কোনোভাবেই ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা হতে পারে না।
মহাপরিচালক জানান, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং মাংস ব্যবসায়ী সমিতি বুধবার (৬ ডিসেম্বর) একসঙ্গে বসে মাংসের দাম নির্ধারণ করবে। পরে ভোক্তা অধিকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল দাম নির্ধারণ করে পরদিন (৭ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।
এই মাংসের দামের সঙ্গে সুপারশপের মাংসের দাম অন্তর্ভুক্ত হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কাঁচের ভেতর থাকা সুপারশপের মাংস দেশের এক শতাংশ মাংসের চাহিদা পূরণ করে হয়তো। বাকি মাংস আসে সাধারণ ব্যবসায়ীদের থেকেই। কাজেই সাধারণ ব্যবসায়ীরাই ঠিক করুক, কত দামে তারা মাংস বিক্রি করতে পারবেন।
এ ছাড়া সভায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়, যারা ৬০০ টাকার নিচে গরুর মাংস বিক্রি করছেন তারা কীভাবে লাভ করছেন, তা সমীক্ষা করে দেখা উচিত। তারা যদি ভালো মানের মাংস বিক্রি করতে পারেন এ দামে, তাহলে বাকিরা কেন পারবেন না সেটিও আলোচনা হওয়া দরকার।