ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বার্ষিক রফতানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ খাতে সরকার কর ছাড় দেয়ায় অল্প সময়ে বাজার এত বড় হয়েছে। চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বড় করতে হবে। সেটা যেন কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। সে লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এবং আবারও করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সেলিব্রিটি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে “বাক্কো মেম্বারস মিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাক্কো’র প্রায় ৪’শ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এবং বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। প্রথমত, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা, দ্বিতীয়ত দেশের সকল মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া, তৃতীয়ত ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থার সেবাগুলো জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া এবং চতুর্থ আইসিটি শিল্প বিকাশ। এই চারটি জায়গাতেই বাক্কো’র প্রত্যেকটা উদ্যোক্তা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বিগত ১৫ বছরের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আগামী ১৭ বছরে বাক্কো’র যারা মেম্বার এবং উদ্যোক্তা তারাই নতুন নতুন সেক্টরে সক্ষমতা তৈরি করবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ২০০টি দেশ রয়েছে। সে সকল দেশে আমাদের ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। শুধু বাংলাদেশকে ধরলে হবে না, সারা বিশ্বটাকে ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে বাক্কো’র প্রতিটি উদ্যোক্তাকে সাহসিকতার সাথে নতুন নতুন জায়গায় তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বাক্কো’র প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সেক্রেটারি জেনারেল মি. তৌহিদ হোসেন, বাক্কো’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মি. মোঃ আবুল খায়ের।