চট্টগ্রাম কাস্টমস সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় করেছে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এটি গত অর্থবছরের তুলনায় নয় দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬২ হাজার ৬৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
মিথ্যা ঘোষণার জন্য দ্বিগুণের বেশি জরিমানা আদায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণসহ অনিয়ম প্রতিরোধে নজরদারি বাড়ানোর কারণে রাজস্ব বেড়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
গত ২০২০ সালের জুনে এনবিআর মিথ্যা ঘোষণার জন্য ন্যূনতম জরিমানা নির্ধারণ করে যা ফাঁকি দেওয়া রাজস্বের দ্বিগুণ। আগে ন্যূনতম জরিমানা নির্ধারণ না থাকায় রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা বেশি ছিল। মিথ্যা ঘোষণার জরিমানা বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে রাজস্ব ফাঁকি কমেছে।
হাইস্পিড ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, আপেল, সিমেন্ট ক্লিংকার, পাম অয়েল, ভাঙা পাথর ও পেট্রোলিয়াম তেলসহ আমদানি করা ১২ পণ্য থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
কাস্টমস হাউস কমিশনার মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা আমদানিতে অনিয়ম রোধ করতে নজরদারি বাড়িয়েছি। পণ্যের প্রকৃত দাম অনুসারে শুল্ক নির্ধারণের ওপর জোর দিয়েছি।’
তার দাবি, মিথ্যা ঘোষণা প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে।