দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন (দুই হাজার ৪০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৪.৩ বিলিয়ন ডলার। এটি আইএমএফের বিপিএম-৬ ক্যালকুলেশন স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুযায়ী নেট রিজার্ভ হিসাব করা হয়। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নেট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
20240401094231.gif
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে।
রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে মুখপাত্র শিখা বলেন, ‘রেমিট্যান্স বাড়ছে বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। রিজার্ভে গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগস্ট ও জুলাই মাসের প্রবৃদ্ধি একত্রে বিবেচনা করলে এটি প্রায় ৯০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সচল করা হয়েছে।
‘ব্যাংকগুলো চাইলে নিজেরা নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারে এবং বিনিময় হার হবে বাজারভিত্তিক।’
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে (এক) ডলারের দাম ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামের সাথে খোলা বাজারমূল্যের পার্থক্য এখন মাত্র ১ শতাংশেরও কম।’
শিখা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সক্রিয় আন্তব্যাংক লেনদেন বজায় থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার বা ডলারের দাম স্থিতিশীল হবে।’