পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে এটা কার্যকর হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চের শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে।
মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ সালের জাতীয় বা লোকসভা নির্বাচনের আগে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারকে যাতে সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়, এ জন্যই পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রথমত, এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই রপ্তানির জন্য যেসব পেঁয়াজ লোড করা শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো ইতোমধ্যে বার্থ করেছে বা পৌঁছে গেছে ও ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে এবং এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।
তৃতীয়ত, যেখানে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে তা নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে। অনুরূপভাবে যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে সেগুলো রপ্তানিতেও কোনো বাধা থাকবে না।