বর্তমান ম্যানেজমেন্ট টিমকে সম্প্রসারিত করছে সেগওয়ার্ক। বিশ্বজুড়ে প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন ও লেবেলের জন্য প্রিন্টিং ইংক ও কোটিং সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানটির এই কৌশলগত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে একটি গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এই প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক উপস্থিতি আরও জোরদার করা এবং বৈশ্বিক ইংক ও কোটিং শিল্পের পরিবর্তিত ধরনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ায় লক্ষেই এই পরিবর্ধন। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে কার্যকর এই গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটি কোম্পানিটির প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত ও কৌশল গঠন, বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান করবে। বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের বর্তমান সদস্যরা হলেন- চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড. নিকোলাস উইডমান, প্রেসিডেন্ট ইএমইএ ড. জান ব্রেইটকপ, প্রেসিডেন্ট আমেরিকাস রালফ হিলডেনব্র্যান্ড এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ড. অলিভার উইটমান। নতুন কমিটিতে তাদের সাথে যোগ দেবেন প্রেসিডেন্ট এশিয়া আশীষ প্রধান।
ম্যানেজমেন্ট টিমে এশীয় প্রতিনিধিত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ায় সেগওয়ার্কের পক্ষে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ব্যবসার পরিবর্তিত চাহিদার প্রতি কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়া সহজ হবে। গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটিতে প্রধানের অন্তর্ভুক্তি সেগওয়ার্কের বৈশ্বিক কৌশলে এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এশিয়ার আছে অপরিসীম প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা। ফলে অন্য দুটি প্রধান অঞ্চল, ইএমইএ ও আমেরিকাস-এর সাথে এশিয়াও কোম্পানির ভবিষ্যৎ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। নতুন এই কাঠামো সেগওয়ার্ককে উদ্ভাবন কৌশলগুলো আরও দক্ষতার সাথে পরিচালনা ও বিভিন্ন স্থানে সহজে পণ্য স্থানান্তরে সাহায্য করবে। এছাড়া কোম্পানিটি সার্কুলার ও ডিজিটাল প্যাকেজিং সমাধানের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাবে।
নতুন গ্রুপ এক্সিকিউটিভ কমিটি ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা অর্জন করবে এবং দায়িত্ববোধের সঙ্গে সেগওয়ার্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করে কোম্পানিটি।
সেগওয়ার্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ড. নিকোলাস উইডমান বলেন, “নতুন ব্যবস্থাপনা কাঠামো সেগওয়ার্ককে আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও নিবেদনের চমৎকার একটি সমন্বয় আছে। এর সাহায্যে আমরা আমাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে এবং প্যাকেজিং শিল্পে উদ্ভাবন চালাতে প্রস্তুত।”
আশীষ প্রধান
২০১৫ সালে আশীষ প্রধান সেগওয়ার্কে যোগদান করেন। তিনি সেগওয়ার্ক ভারতের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এবং ভারত ও বৃহত্তর চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের শুরুতে তিনি প্রেসিডেন্ট এশিয়া হিসেবে নিযুক্ত হন। ভারত, বাংলাদেশ, বৃহত্তর চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসা দেখাশোনা করা এই পদে তার দায়িত্ব।
সেগওয়ার্কে যোগদানের আগে তিনি বৈশ্বিক প্যাকেজিং শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা পদে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারন্যাশনাল পেপার, হেনকেল, পজিটিভ প্যাকেজিং এবং হাহতামাকি। প্রধানের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি এবং ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি আছে।