টানা ৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। এ বর্বর আগ্রাসনে গেলো ২৪ ঘণ্টায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাগাজি শরণার্থী শিবিরেই নিহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলায় ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মাগাজি শরণার্থী শিবিরেই ১০০ জনেরও বেশি গাজাবাসীকে হত্যা করেছে ইসরাইল। আহত হয়েছেন বহু লোক।
মাগাজি শরণার্থী শিবিরে এক নারী বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার চলে গেছে। আমার পাঁচ ভাইয়ের সবাই চলে গেছেন। তারা আমার কোনো ভাইকেই ছাড়েনি।…সবাই মারা গেছেন!’
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ক্যাম্পের একটি আবাসিক চত্বরে ইসরাইলি হামলায় সাতটি পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
মাগাজির বাসিন্দা জেয়াদ আওয়াদ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী বেসামরিক মানুষকেও রেহাই দিচ্ছে না। আমার সন্তান আমাকে বললো, ‘আমাকে সাহায্য কর! কি হচ্ছে? আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’
বড়দিনে যিশুর জন্মভূমিতে বিমান হামলা, নিহত ৭০বড়দিনে যিশুর জন্মভূমিতে বিমান হামলা, নিহত ৭০
গাজার প্রতি সংহতি, বড়দিনের উৎসব বাতিল করলো সিরিয়াগাজার প্রতি সংহতি, বড়দিনের উৎসব বাতিল করলো সিরিয়া
বড়দিনের আগের রাতে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে চলমান লড়াইয়ের মধ্যে গাজায় ব্যাপকহারে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় বহু আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন অনেকে।
এদিকে খান ইউনিস, বুরেইজ এবং নুসেইরাতেও বহু মানুষ নিহত হয়েছে। গত দিনের হামলায় অন্তত ৫০০ মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।