লোহিত সাগরে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের তিনটি বোট ধ্বংস এবং ১০ হথি বিদ্রোহীকে হত্যা করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) ও হুথি বিদ্রোহী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই অঞ্চলে জাহাজ চলাচলে অব্যাহত হুমকির কথা তুলে ধরে গ্লোবাল শিপিং জায়ান্ট মারস্ক ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। খবর রয়টার্স, আল জাজিরার
রোববার এক বিবৃতি হুথি গোষ্ঠী বলেছে, লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী তাদের তিনটি জাহাজে হামলা করে কমপক্ষে ১০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। জাহাজগুলো সাগরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং সামুদ্রিক নৌচলাচল নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করছিল। এছাড়াও জাহাজগুলো লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি জাহাজ বা দখলকৃত ফিলিস্তিনের বন্দরগুলোতে যাওয়া ঠেকাতে কাজ করছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজগুলো মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করছিল।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, হুথি বিদ্রোহীদের হুমকি মোকাবেলায় মার্কিন নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোহিত সাগরে আক্রমণ চালিয়ে তাদের তিনটি নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছে।
ইউএসএস আইজেনহাওয়ার ও ইউএসএস গ্রেভলি নামের দুটি যুদ্ধজাহাজের হেলিকপ্টারগুলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ মারস্ক হ্যাংজু থেকে কলে সাড়া দেওয়ার সময় ইরান-সমর্থিত হুথি ছোট নৌকাগুলো থেকে গুলি ছোড়া হয়। পরে মার্কিন হেলিকপ্টার পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে হুথিদের তিনটি নৌকা ডুবিয়ে দেয় এবং তাদের বেশ কয়েকজন ক্রুকে হত্যা করে। তাদের একটি নৌকা পালিয়ে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে সেন্টকম বলেছে, হুথি বোটগুলো ২০ মিটার কাছে আসলে মারস্ক হ্যাংঝো থেকে বিপদ সংকেত দেওয়া হয়। সংকেত না শুনে তারা গুলি করা শুরু করে। পরে পাল্টা গুলি ছোড়া হয়। এতে হুথিদের তিন বোট ধ্বংস ও ১০ সদস্য নিহত হন।
গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মারেস্ক হ্যাংজুতে হুথিদের এটি দ্বিতীয় হামলা। শনিবার গভীর রাতে সেন্টকম বলেছে, লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি পণ্যবাহী জাহাজ মেরেস্ককে লক্ষ্য করে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজের অব্যাহত হুমকির কথা তুলে ধরে বৈশ্বিক শিপিং জায়ান্ট মারস্ক বলেছে, তারা লোহিত সাগরে তাদের কার্যক্রম ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করছে।