জঙ্গি হামলার বাড়বাড়ন্ত, অর্থনৈতিক সংকট ও গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, যাতে স্পষ্ট কোনো বিজয়ী পাওয়া নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছেন অনেক বিশ্লেষক।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ২৪ কোটি ৩৩ লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে শুরু হয় ভোট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ নির্বাচনে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিগত নির্বাচনে জয়ী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ৩৫ বছর বয়সী ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও, যার নজর সর্বোচ্চ পদে।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, নির্বাচনে স্পষ্ট কোনো বিজয়ী পাওয়া না যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন পাকিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা জেনারেলরা।
পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর ৭৬ বছরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষমতার কলকাঠি নেড়েছে সেনাবাহিনী, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাহিনীটি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে না বলে দাবি করে আসছে।
এ বিষয়ে আব্বাস নাসির নামের এক কলাম লেখক বলেন, ‘শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও এর নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কোন পক্ষে আছে, সেটিই নিষ্পত্তিকারী বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিটিআইয়ের পক্ষে বিপুল ভোটই কেবল তাদের ভাগ্য বদলাতে পারে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশ্বাস, তার দল পিটিআইকে শেষ করে দিতে কঠোর ব্যবস্থার নেপথ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে বিশ্লেষক ও বিরোধীরা মনে করেন, পাকিস্তানের জেনারেলরা সমর্থন দিচ্ছেন নওয়াজ শরিফকে।