অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের দক্ষিণে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলায় ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। সোমবার (১৩ মে) এ হামলা চালানো হয়েছে বলে গাজার চিকিৎসাসূত্র জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমানগুলো নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলেও হামলা চালিয়েছে। সেখানে এখনও আগুন জ্বলছে।
আরবিতে আলজাজিরার সহকর্মীরাও জানিয়েছেন, ইসরায়েল ক্রমাগত বোমা হামলা চালাচ্ছে। যার কারণে গাজার সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা নুসেইরাত শিবিরের আক্রমণে আহত ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় ইসরায়েলি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। আর রাফা শহরের পূর্বাঞ্চলে রাতভর বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তর-পশ্চিমে বেইত লাহিয়া শহর ও গাজার উত্তরে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩ হাজার শিশুও আছে। ৮ হাজার ৬৬৩ শিশুসহ ৭৮ হাজার ৮২৭ জন আহত হয়েছে।