রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকায় বহুমুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ইসরায়েল ও মিসর উভয়ই একে অপরকে দোষারোপ করে সংকট সমাধানের প্রচেষ্টা আরো জটিল করে তুলছে।
কিছুদিন আগেই গাজা ক্রসিংয়ের পাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকেই বন্ধ রয়েছে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং। আর এ কারণেই আশ্রয় নেয়া গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ সরবরাহ করতে পারছে না আন্তর্জাতিক সাহায্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ বলেন, তিনি যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে ক্রসিংটি পুনরায় চালুর জন্য মিসরকে রাজি করানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করেছেন।
অন্যদিকে মিসরের দাবি ওই এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত করছে।
কাটজ বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজায় হামলা করে এ যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। কিন্তু এখন রাফাহ আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার প্রসঙ্গে ইসরায়েল আর কোনো আপস করবে না।
এর পরপরই মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি দ্রুত একটি বিবৃতি দিয়ে কাটজের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, গাজায় মানবিক সংকটের জন্য ইসরায়েল দায়ী এবং রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তৎপরতা সেখানে সাহায্য প্রেরণে বাধার সৃষ্টি করছে।
ইসরায়েল-গাজার যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মিসর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিল। ৭ মে রাফা ক্রসিংয়ের পাশের অঞ্চল দখল করার পর থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো সীমান্ত ক্রসিংয়ের উত্তরে অবস্থিত রাফাহ শহরের আরো গভীরে প্রবেশ করছে বলে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
খবর: বিবিসি