Thursday, December 5, 2024

সর্বশেষ

গাজায় ৭ হাজার শিশুসহ নিহত ১৬২৪৮, আহত ৪৩ হাজার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে প্রাণ গেছে ৭ হাজার শিশুসহ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের। আহত হয়েছেন ৪৩ হাজারের ওপরে, নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৮ হাজার।

গত ৭ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাবে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির শাসক দল হামাসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

হামাস বলছে, ইসরায়েল টানা হামলা চালাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি শিশু ও ৫ হাজারের মতো নারীসহ নিহত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৪৮ জন।

এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬১৬ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার ৬০০ জনের মতো বলেও জানিয়েছে তারা।

গাজার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে রয়টার্স বলছে, টানা বিমান হামলার পর দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে তিন দিনের বিমান হামলার পর এই অভিযান শুরু হয়।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে। তাদের দাবি, গাজা নগরীতে হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পেছনে জড়িত।

হামলায় বহু প্রাণহানির পর সাত দিনের জন্য ছিল যুদ্ধবিরতি, তবে সেই বিরতি শেষ হওয়ায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয় গত শুক্রবার।

উত্তর গাজায় হামলা শুরুর পর এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে বলা হয়। এখন সেই দক্ষিণ গাজাতে হামলা হচ্ছে। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিস শহরে, এই হামলার যে তীব্রতা; যুদ্ধ শুরুর পর তা কখনও দেখা যায়নি।

ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।

টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।

এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।

এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.