আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে করা একটি রিট খরিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
সবকিছু বিবেচনা করে রুল ইস্যু করা হলো না, মামলাটি আমরা খারিজ করলাম- এই বলে আদালত খারিজের আদেশ দেয়।
আদেশের পরে রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলে, এসব মামলা নিয়ে আর আসবেন না। এমন মামলা নিয়ে আসবেন যাতে ১৮ কোটি মানুষের কাজে লাগে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ।
একটি সংসদ বহাল থাকায় অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। এর আগে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী।
নোটিশে বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠ ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়পত্র দাখিলের জন্য শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্ন পত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে।
আবেদনে বলা হয়, এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নন। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।