বিশাল শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, লাইব্রেরি কিংবা জাদুঘর— ঢাকায় ঘুরে বেড়ানোর মতো অনেক জায়গা আছে। বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র এই রাজধানী। তবে আমাদের প্রায়ই মনে থাকে না, আজকের এই ব্যস্ত মহানগরী ঢাকার আছে চারশ বছরের ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের কিছুটা ছাপ এখনও পাওয়া যায় পুরান ঢাকায়। গৎবাঁধা জীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মিলে এসব ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ হতে পারে চমৎকার।
আপনাদের জন্য থাকছে পুরান ঢাকার তিনটি সুন্দর ঐতিহাসিক নিদর্শনের খবর।
লালবাগ কেল্লা
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লালবাগ এলাকায় অবস্থিত লালবাগ কেল্লা মোগল স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। ১৬৭৮ সালে বাংলার তৎকালীন সুবেদার আজম শাহ এর নির্মাণকাজ শুরু করেন। তিনি দিল্লি চলে যাওয়ার পর প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ থাকার পর সুবেদার শায়েস্তা খাঁ’র উদ্যোগে আবার নির্মাণকাজ শুরু হয়।
মূল তিনটি ভবনের সমন্বয়ে এই স্থাপনা গঠিত: মসজিদ, পরী বিবির সমাধি এবং দেওয়ান-ই-আম বা দরবারহল। আরও আছে বেশ কিছু ফোয়ারা, যা শুধু বিশেষ উপলক্ষে চালু করা হয়। এছাড়া সর্বসাধারণের জন্য শায়েস্তা খাঁ’র বাসভবনে তৈরি করা হয়েছে একটি জাদুঘর।
আহসান মঞ্জিল
পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলি এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। এক সময় এটি ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারির কাছারি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে বর্তমানে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে জাদুঘর হিসেবে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গণি। তৎকালীন ঢাকায় এত সুন্দর ভবন আর ছিল না। জানলে অবাক হবেন, ঢাকা শহরে এই আহসান মঞ্জিলেই প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলেছিল।
তারা মসজিদ
আরমানিটোলার আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত তারা মসজিদ পুরান ঢাকার অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা। ১৮ শতকে ঢাকার তৎকালীন জমিদার মির্জা গোলাম পীর মোগল স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করে এই মসজিদ তৈরি করেন। তখন লোকমুখে এর নাম হয় ‘মির্জা সাহেবের মসজিদ’। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত নকশার কারণে এটি তারা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়।
আপনি যদি পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মিলে একইদিনে তিনটি স্থাপনা-ই দেখতে চান, আপনার উচিত আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখা। কাদের সঙ্গে যাবেন এবং কোন জায়গার পর কোন জায়গায় যাবেন ঠিক করুন।
ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলে আপনি বেছে নিতে পারেন উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো।
পার্কিংয়ের জায়গা খোঁজা বা গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে মাথা ঘামাতে না চাইলেও এই সার্ভিস হতে পারে আপনার জন্য দারুণ সমাধান। এমন পরিস্থিতিতে উবার রেন্টালসের মতো সার্ভিস আপনার জন্য হতে পারে চমৎকার। এর মাধ্যমে আপনি আগে থেকে রাইড বুক করে রাখতে পারেন। আর এই গাড়ি দশ ঘণ্টার জন্য আপনার সাথে রাখারও সুযোগ থাকছে। তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই সার্ভিসে আপনি আপনার পছন্দের জায়গাগুলো
ঘুরে দেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। পরে গন্তব্যে কীভাবে যাবেন তা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তাও করতে হবে না। আর যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে অ্যাপের নানা রকমের নিরাপত্তার ফিচার তো আছেই।