মহিমান্বিত রমজানের পবিত্রতা ও চেতনার সঙ্গে একাত্ম হতে এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল এবং ইফতারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকালে রাজধানীর মিরপুরস্থ জামেউল উলুম মাদরাসায় এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সংযম, ত্যাগ, ইবাদত ও দানের মাধ্যমে পবিত্র মাহে রমজানের মহিমায় সিক্ত হতে আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বাক্কোর বিভিন্ন সদস্য-প্রতিষ্ঠান হতে আগত প্রতিনিধিসহ বাক্কো কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সচিবালয়ের সদস্যবৃন্দ।
আয়োজনে বাক্কোর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ সহ-সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল বাসার, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. আমিনুল হক এবং পরিচালক মো. ফজলুল হক, মুসনাদ ই আহমেদ, আব্দুল কাদের ও জায়েদ উদ্দীন আহমেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন হক জুনায়েদ, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সভাপতি নাজনীন নাহার, সহ-সভাপতি ভূইয়াঁ ইনাম লেনিন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসানসহ সংগঠন দুটির অন্যান্য সদস্যরা।
কেন এমন ব্যতিক্রমী ইফতার আয়োজন করলেন? জানতে চাইলে বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, রমজান মাসে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের যে পাঁচটি বাণিজ্যিক সংগঠন রয়েছে, সবাই ট্রেডিশনালভাবে ইফতার মহাফিলের আয়োজন করে থাকে। আমরা এর মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। সাংগঠনিকভাবে ইফতার মহাফিল আয়োজন করলে সাধারণত সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়। কিন্তু যারা সত্যিকারভাবে সারা রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখেন, আত্ম সংযম করেন, আল্লাহর ইবাদত করেন, যাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন, যাদের সঙ্গে একটু শরিক হলে আমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান আছেন, তারা যাতে এই গরীর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারেন, এ জন্যই মূলত আমরা এই ধরনের ব্যতিক্রমী ইফতার ও দোয়া মহাফিলের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, এই আয়োজন আমাদের সদস্যদের সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যাতে সবাই এসে তাদের সাথে শরীক হতে পারেন। অনেকেই এসেছেন। উদ্দেশ্য ছিল কেউ যদি মন থেকে এতিম, অসহায়দের পাশে দাঁড়ান, একজনকে দেখে অন্য জনেররাও যাতে দাঁড়ান। এভাবে যাদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে তাদের কাছে যেনো আমরা যেতে পারি। এভাবে কিছুটা হলেও আমাদের রমজান মাসের যে প্রকৃত উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
ভবিষ্যতে এমন আয়োজন আরও করবে জানিয়ে বাক্কো সভাপতি বলেন, আমরা আশা করছি এখন থেকে প্রতি বছরই এমন আয়োজন চলমান থাকবে। আমাদের মেয়াদে আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। পরে যে কার্যনির্বাহী কমিটি আসবে আশা করছি তারাও এটা চলমান রাখবেন।
বাক্কোর এই মহতী উদ্যোগকে সফল্যমন্ডিত করে তোলার জন্য সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা আজ এ মাদরাসার সকলের সাথে ইফতার ও দোয়া মহাফিলের শরিক হতে পরে আনন্দিত। যারা কষ্ট করে এ আয়োজনকে সাফল্যমন্ডিত করতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন বিশেষ করে এ মাদরাসার শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষদের আমাদের বাক্কোর পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া করি যেনো তারা সুস্থ থেকে তাদের পড়াশোনা সুন্দর মতো চালিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও বাক্কো এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
এছাড়াও জামেউল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মো. আবুল বাশার নোমানী ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাক্কোর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।