Sunday, April 20, 2025

সর্বশেষ

৩২ ওভারের দিন শেষে কাছাকাছিই দুই দল

দিনশেষে কোনো এক দলকে এগিয়ে রাখা কঠিন। সামনে তাকিয়ে দুই দলের ভাবনাও অনেকটা একইরকম। নিউ জিল্যান্ড দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে গ্লেন ফিলিপস বলে গেলেন, বাংলাদেশকে দুইশর নিচে আটকে রাখার লক্ষ্য তাদের। বাংলাদেশের নাঈম হাসানের মতে, ২০০-২২০ রান করলেই ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে ম্যাচ এখন এমন মোড়ে, যেখান থেকে সম্ভব সব ফলাফলই।

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৮। প্রথম ইনিংসে ৮ রানের ঘাটতি পুষিয়ে এখন তারা এগিয়ে ৩০ রানে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে নিউ জিল্যান্ড তোলে ১৮০ রান।

বৃষ্টি, ভেজা মাঠ আর আলোকস্বল্পতা মিলিয়ে তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে স্রেফ ৩২.৩ ওভার। আগের দিন পুরোটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শুক্রবার প্রথম সেশনেও খেলা হয়নি মাঠ ভেজা থাকায়। দুপুর ১২টায় শুরু হয় খেলা। ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিউ জিল্যান্ড আরও ২ উইকেট হারায় একশ ছোঁয়ার আগেই।

সেখান থেকে দলকে লিড এনে দেন গ্লেন ফিলিপস। দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

ঝড়ো ইনিংসে দলকে লিড এনে দেন গ্লেন ফিলিপস। |ছবি: রতন গোমেজ/বিসিবি
প্রথম দিনের চেয়ে উইকেট এ দিন সামান্য একটু ভালো ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। দিনের খেলা শুরুর আগে ঘণ্টাখানেক রোদ পেয়ে উইকেট একটু থিতু হয়। ভারি রোলার ব্যবহার করা হয়। তবে স্পিনারদের সহায়তা তো ছিলই। কিন্তু ফিলিপস দারুণ সব শট খেলতে থাকেন। বাংলাদেশের স্পিনাররা খেই হারায়।

একটু সাবধানে খেলছিলেন যিনি, সেই ড্যারিল মিচেল হুট করে বড় শট খেলতে গিয়ে বিদায় নেন। নাঈম হাসানের বলে অনেকটা দৌড়ে দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচ নেন মিরাজ। একটু পর নাঈমের টার্ন ও বাউন্সে মিচেল স্যান্টনার বিদায় নেন দ্রুতই।

নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ৭ উইকেটে ৯৭।

এরপরই বাংলাদেশের লিডের আশা পিষ্ট হয় ফিলিপসের ব্যাটে। বল ছেড়ে দেওয়া ও ঠেকানোর মাঝে বড় শট খেলার বল নির্বাচন ছিল তার প্রায় নিখুঁত। বাংলাদেশের বোলাররাও কিছুটা খেই হারান তার সামনে। আরেকপ্রান্ত থেকে কাইল জেমিসন দারুণ সঙ্গ দেন তাকে।

খেলা বন্ধ হওয়ার পর মাঠ ছাড়ছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও জাকির হাসান। |ছবি: রতন গোমেজ/বিসিবি
শেষ পর্যন্ত পেসার শরিফুল ইসলাম আক্রমণে এসে এই জুটি ভাঙেন। তার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ২০ রানে বিদায় নেন জেমিসন। থামে ৫৫ রানের জুটি।

ফিলিপস নিজের গতিতেই এগিয়ে দলকে এনে দেন লিড। এরপর শেষ দুই উইকেট অবশ্য দ্রুতই পড়ে যায়। শরিফুলকেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন ফিলিপস। পরের ওভারেই টিম সাউদিকে ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেন তাইজুল।

তাইজুল ও মিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট, শরিফুল ও নাঈম দুটি করে।

বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় প্রথম ওভারেই। এজাজ প্যাটেলের বাইরের বল অযথা খোঁচা দিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন এই ওপেনার।

এরপর জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত একটা জুটি গড়ার ইঙ্গিত দেন বটে। সেই সম্ভাবনা শেষ হয় শান্তর ঝূঁকিপূর্ণ প্রচেষ্টায়। টিম সাউদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আলতো ক্যাচ দেন তিনি মিড অফে।

এক বল পরই আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয় খেলা। দুপুর পৌনে তিনটায় থমকে যাওয়া খেলা আর শুরু হতে পারেনি।

প্রথম দিন শেষে যে ম্যাচ মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় দিনেও শেষ হতে পারে, সেই ম্যাচই এখনও গড়াতে পারে পঞ্চম দিনে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭২

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৫৫/৫) ৩৭.১ ওভারে ১৮০ (মিচেল ১৮, ফিলিপস ৮৭, স্যান্টনার ১, জেমিসন ২০, সাউদি ১৪, এজাজ ০*; শরিফুল ৪-১-১৫-২, মিরাজ ১১-১-৫৩-৩, তাইজুল ১৬.১-০-৬৪-৩, নাঈম ৪-০-২১-২, মুমিনুল ২-০-১৭-০)

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৮ ওভারে ৩৮/২ (জাকির ১৬*, জয় ২, শান্ত ১৫, মুমিনুল ০*; এজাজ ৪-০-১৩-১, স্যান্টনার ২-০-১২-০, সাউদি ২-০-৮-১)

সর্বশেষ

নির্বাচিত

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.