ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যখন ইউরোপ ছেড়ে সৌদিতে পাড়ি জমান, তখন অনেকেই এর সমালোচনা করেছিলেন। কেন সেখানে যেতে হবে তাঁকে! সৌদিতে গিয়ে বেশি দিন থাকতে পারবেন না; এমন কত কী! কিন্তু সব সমালোচনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে দিব্যি আনন্দে বছর পার করে ফেলছেন সিআর সেভেন।
আর কয়েক দিন পর এই পর্তুগিজ তারকার সৌদি জীবনের এক বছর পূর্ণ হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি দেশটির অন্যতম জায়ান্ট ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েছিলেন রোনালদো। দেখতে দেখতে বছর শেষ হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে শিরোপা উৎসব করেছেন, গোলের রেকর্ড গড়েছেন। এমনকি দেশের হয়েও দ্যুতি ছড়িয়েছেন।
এই তো মঙ্গলবার রাতে কিংস কাপে আল শাবাবের বিপক্ষে গোল করে নতুন মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি। এক বছরে ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো অন্তত ৫০ গোল করলেন রোনালদো। যেখানে আবার তাঁর চেয়ে খানিকটা এগিয়ে মেসি। তিনি এক বছরে ৫০ গোল করেন ৯ বার।
তবে সৌদিতে যাওয়ার পর যে সমালোচকরা তাঁকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা করেছিল, তাদের এখন মুখ লুকানো ছাড়া আর কী বা করার আছে। কারণ রোনালদো তো আছেন বেশ। কেবল ৫০ নয়, এটাকে আরও বাড়াতে চাইছেন তিনি। যেমনটা বলেছেন কিংস কাপে আল শাবাবের ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামে, ‘দারুণ এক জয়। ২০২৩ সালে আমি নিজের ৫০ নম্বর গোলের ঘোষণা দিতে পেরে রোমাঞ্চিত।’
সেই সঙ্গে সতীর্থদের ধন্যবাদ দিতেও ভুল করেননি রোনালদো, ‘সতীর্থ, সমর্থক আর আমার পরিবারের চমৎকার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। এ বছর আরও কিছু গোল করার সুযোগ আছে।’
তবে রোনালদো সৌদিতে যাওয়ার পর আরেক তারকা নেইমারও সেদিকে পা বাড়ান। তাঁকে নিয়েও সমালোচনা চলে। যদিও নেইমার এখনও সেভাবে সফলতা পাননি। চোট তাঁকে সেখানেও ধরে ফেলে। যে কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে আছেন এই ব্রাজিলিয়ান। শুধু নেইমারই নন, আরও কয়েকজন চেনা মুখ সৌদির বিভিন্ন ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। মেসিকেও নেওয়ার চেষ্টা ছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত মেসি ইন্টার মায়ামিকে বেছে নেন।
মূলত বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন এবং মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বে নিজেদের ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্যই ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ায় সৌদি সরকার। তাদের সেই পরিকল্পনাও সফলতার মুখ দেখে। কয়েক দিন আগে ফিফা ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদির নাম ঘোষণা করে। হয়তো রোনালদোর সুখী মুখটা দেখে নতুন বছরে আরও কয়েকজন তারকাকে সৌদিতে উড়িয়ে আনতে পারবে দেশটির ক্লাবগুলো।